খুলনায় ট্রেন এবং ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) রাত পৌনে ৮ টার দিকে নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন আফিল গেটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ঘের পর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় একজন নিহত ও ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত হলেন ঝিনাইদহ থানার খাজুরা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আসমত আলী খানের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম খান (৬৫)।
এছাড়া আহতরা হলেন- অভয়নগর থানার নোয়াপাড়া গ্রামের সুমনের ছেলে সাদমান(৬), যশোর থানার সেখ হাটি গ্রামের হাফিজুরের ছেলে মারুফ (১৭), বটিয়াঘাটা থানার হাটবাটি গ্রামের মোশারফের ছেলে মিন্টু (৪৫), আড়ংঘাটা থানার গাইকুর গ্রামের মৃত শেখ রুস্তম আলীর ছেলে শেখ সাইদুল আজম (৫০), খালিশপুর থানার বাস্তহারা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সোহেল (৩৪), দৌলতপুর থানার দৌলতপুর গ্রামের রনজিত পালের ছেলে বিপ্লব (২৬), বসুন্দিয়া থানার বসুন্দিয়া গ্রামের ইয়াকুব মোল্লার ছেলে মাহমুদ হোসেন (৪০) ও রূপসা থানার কাশদিয়া গ্রামের আশিষের মেয়ে লাবণ্য (১৫)।

খুলনা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস আলম খান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত পৌনে ৮ টার দিকে ডাউন মহানন্দ ট্রেনটি খুলনার দিকে আসছিল। এ সময়ে একটি ট্রাক ট্রেন লাইনের ওপর উঠে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গেটম্যান ওহেদুল পলাতক রয়েছে।
খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, আফিল গেট বাইপাস সড়ক রেল ক্রসিংয়ে একটি ট্রাক উঠে পড়লে ট্রাকটির ষ্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ে খুলনার দিকে আসা ট্রেনটি ট্রাকটিকে ধাক্কা দিয়ে সামনের দিকে নিয়ে যায় এবং ট্রেনের ৩ টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এ ঘটনায় ট্রেনে থাকা যাত্রীদের অনেকে আহত হন। তবে এ ঘটনায় একজন বয়স্ক ব্যক্তি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করে।
খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন বলেন, চাপাই নবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মহানন্দা এক্সপ্রেস খুলনায় আসার পথে আফিলগেট ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রার অপেক্ষায় থাকা সুন্দরবন এক্সপ্রেস কিছুটা দেরিতে যাত্রা শুরু করবে।
এ ঘটনার পর থেকে খুলনার সাথে সারা বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।